নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে হুমকির মুখে পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন একজন খামারীর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার টাকা।
পূর্বকোণকে এ তথ্য জানিয়েছেন দীর্ঘ পাঁচ বছরের পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ী আর. টি,.বহুমুখী ফার্মের মালিক ইউনিয়নের রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক তালুকদার এর পুত্র মো. রাসেল। তিনি বলেন, গত ২৬ শে মার্চ থেকে চলমান করোনাভাইরাস এর কারণে আমদানি রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় খাদ্য, ঔষধ সহ সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। রপ্তানিও বন্ধ রয়েছে। দৈনিক প্রতিটি মুরগীর জন্য অনেক টাকার খাবার প্রয়োজন। বেচা বিক্রি ও নাই, যার ফলে এখন চরম দুর্দশা অবস্থা।
২১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আর টি পোল্ট্রি ফার্মে বর্তমানে লিয়ার ও বয়লার মিলে ৩০ লাখ টাকার মুরগীর মওজুদ রয়েছে। প্রতিদিন ডিম উৎপাদন হচ্ছে ২৭০০ মুরগীর। প্রতিটি ডিমের পিছনে যাহা খরচ পড়ছে বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা কম। তাও স্থানীয় ভাবে কিছু ডিম বিক্রি হলে ও বাকী ডিম খামারে মওজুদ থেকে যায়। বয়লার মুরগী ও দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছে রপ্তানি করতে না পেরে এখন বিপাকে।
আর টি পোল্ট্রি ফার্মের মালিক রাসেল জানান, সম্পূর্ন নিজস্ব পদ্বতিতে ফার্ম করেছি। সরকারী ভাবে কোন ধরনের সহযোগিতা এপর্যন্ত তিনি পাই নাই। উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগে কয়েক দফা গিয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ না পেয়ে হতাশা গ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান। তাছাড়া সরকারী কোন ব্যাংক থেকে লোনও পাননি। তবে তিনি সরকার অনুমোদিত একজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব আদায় করে যাচ্ছে । সরজমিনে আরো দেখা যায় বাইশারী ইউনিয়নে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক মুরগীর ফার্ম রয়েছে। সবগুলো ফার্মের একই দশায় পরিণত হয়েছে বলে জানালেন খামারীরা। তাদের চোখে মুখে এখন হতাশার চাপ লক্ষ করা যায়। এই দুর্যোগময় মুহুর্তে সরকারী ভাবে সহযোগিতা পেলে কোন রকম ক্ষতির পরিমান কাটিয়ে উঠবে বলে জানান পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা।
পাঠকের মতামত: